বিশনয় আন্দোলন 👉 পশ্চিম ভারতের প্রকৃতির উপাসক এই বিশনয় সম্প্রদায়ের
প্রতিষ্ঠাতা গুরু জামভাজি। তারা প্রকৃতিকে রক্ষা করার জয় গুরুর দেওয়া ২৯ টি
উপদেশ [বিশ + নয়] মেনে চলত। তাই এদের বিশনয় বলা হত। মরু অঞ্চলে নির্বিচারে গাছ
কাটার প্রথম প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেন গুরু সোমভাজি। তবে ১৭৩০
সাল নাগাদ যোধপুরের মহারাজা অভয় সিং প্রাসাদ নির্মাণের জন্য খেজরালি গ্রামে গাছ
কাটার বিরুদ্ধে পরে অমৃতা দেবী বিশনয়ের নেতৃত্বে এই আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। খেজরালি
গ্রামের মহিলারা গাছকে জড়িয়ে ধরে রক্ষা করেন। মহারাজার সিপাহীদের আক্রমণে প্রায়
৩৬৩ জন প্রাণ হারান [খেজরালি হত্যাকাণ্ড]। তবুও তারা পিছু হটেনি। শেষ
পর্যন্ত এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের চাপে মহারাজা
গাছ কাটার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। বিশনয়দের এভাবে
গাছকে জড়িয়ে রক্ষা করা পরবর্তী কালে চিপকো আন্দোলনের প্রেরণা জুগিয়েছিল।
চিপকো আন্দোলন 👉১৯৭৩ সাল নাগাদ উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল অঞ্চলে গাছ রক্ষা করার জন্য চিপকো আন্দোলন শুরু হয়। ঠিকাদাররা গাছ কাটতে গেলে স্থানীয় অধিবাসীরা গাছকে জড়িয়ে ধরে বাধা দিত। সেই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সুন্দরলাল বহুগুনা, চন্ডি প্রসাদ ভট্ট, গৌরী দেবী প্রমুখ।
আপিক্কো আন্দোলন 👉১৯৮৩ সালের কর্নাটকের সিরসি অঞ্চলের স্থানীয় জনগণ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা কে কেন্দ্র করে উত্তর ভারতের চিপকো আন্দোলনের ধাঁচে এই আন্দোলন করেন। নেতৃত্বে দিয়েছিলেন পান্ডুরং হেগড়ে।আন্দোলনের স্লোগান ছিল – 5F অর্থাৎ Food, Fodder, Fuel, Fiber এবং Fertilizer
সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন 👉 সাইলেন্ট ভ্যালি কেরলের পালাক্কাদ জেলার একটি ঘন অরন্য অঞ্চল, যা নীলগিরি বায়োস্ফিয়ারের অংশ। ১৯৭৩ সালে এখানকার নদীর ওপর বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহন করা হলে কেরল শাস্ত্রীয় সাহিত্য পরিষদ এর বিরোধিতা করে। জনৈক কবি সুগাথাকুমারি এবং সাংবাদিক ভারগেস এই বিষয়ে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। শেষ পর্যন্ত সরকার পিছু হটে। ১৯৮৫ সালে সাইলেন্ট ভ্যালিকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন 👉 নর্মদা নদীর উপর বাঁধ নির্মাণে নির্মাণের জন্য স্থানীয় অধিবাসীদের অসন্তোষ প্রথম থেকেই ছিল। নর্মদা সাগর ও সর্দার সরোবর বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ১৯৮৫ সালে গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের অধিবাসীরা প্রবল আন্দোলন শুরু করে। মেধা পাটকার এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অরুন্ধতী রায় ও বাবা আমাতে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
জঙ্গল বাঁচাও আন্দোলন 👉 ১৯৮২ সাল নাগাদ বিহারের সিঙ্গভূম জেলার স্থানীয় আদিবাসীরা শাল গাছ কাটার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা এই আন্দোলন করেছিল।
তেহরি বাঁধ সংঘাত 👉 উত্তরাখন্ডের তেহরি জেলায় ভাগরথি নদীর ওপর বাঁধ নির্মানকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলন ঘটেছিল। পরিবেশের ক্ষতি রুখতে এই বাঁধ নির্মান বন্ধ করার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুন্দরলাল বহুগুনা।
বালিয়াপাল আন্দোলন 👉 ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় সমুদ্র উপকূলের বালিয়াপাল অঞ্চলে ভারত সরকারের সামরিক ঘাঁটি নির্মানের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ আন্দোলন হয়েছিল।
গ্রীন বেঞ্চ কি 👉 সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয় গুলোর শুনানির জন্য হাইকোর্ট গুলির বিশেষ বেঞ্চ। ১৯৯৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কুলদীপ সিং এবং এস. সাগির আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পরিবেশ সংক্রান্ত অভিযোগ শোনার জন্য একটি বিশেষ বিভাগের বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেয়, এটিই ছিল দেশের প্রথম গ্রীন বেঞ্চ।
PDF টি Download করতে 👉 Click Here
Please do not enter any spam link in the comment box