মন ভালো রাখার সহজ উপায়
মন ভালো রাখার ১০ টি সহজ সরল উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হল। এগুলি মেনে চলতে পারলে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন।
মন ভালো রাখার উপায়
শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে হলে আগে মনকে ভালো রাখতে হবে। কেননা শরীর নামক বিরাট জটিল যন্ত্রকে সুস্থভাবে চালিত করতে পারে একমাত্র সুস্থ মন। আর তা যদি না হয় দেখা দেয় নানা গোলমাল। আপনার খিদে,পরিপাক বা হজমশক্তি, ঘুম, শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তের চাপ এবং দেহের অন্যান্য তন্ত্রের কাজ ধীরে ধীরে ব্যাহত হতে শুরু করে। আপনার দেহে শান্তি থাকে না। তাই সবথেকে আগে দরকার মনকে ভালো রাখা। আর এই মন হচ্ছে মানব শরীরের সবথেকে চঞ্চল এক বস্তু। একে নিয়ন্ত্রন করা একটু শক্ত বইকি, কিন্তু একদম অসম্ভব নয়। তাই আসুন আজকে আমরা মনকে নিয়ন্ত্রন কীভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করে জেনে নিই মন ভালো রাখার উপায়।
১, মনকে ইস্পাতের ন্যায় দৃঢ় করা
মনকে ভালো রাখার প্রথম ধাপ হল আপনার মনকে দৃঢ় করা। এটা একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং বেশ কিছু পদক্ষেপের মিলিত ফল। মনকে ভালো রাখার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা আলোচনা করার আগে আমরা আলোচনা করব কীভাবে আপনি আপনার দৃঢ় মনকে করবেন। এরজন্য আপনাকে নিজের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর সন্তুষ্ট থাকে হবে। এই পরিস্থিতি হতে পারে আর্থিক বা সামাজিক বা শারীরিক । প্রতিবেশীর সম্পদ বেশি, Mr. X ভালো চাকুরি করে সমাজে সবাই তাকে মানে বা আমার বন্ধুর খুব সুন্দর চেহারা আর আমি মোটেও দেখতে ভালো নই – এমন ধারনা মন থেকে দূর করতে হবে। কারন যখন আপনি নিজের সঙ্গে মেলাতে যাবেন শুরু হয়ে যাবে আপনার মনের ওপর চাপ পড়া। এথেকে আপনার মনে জন্ম নেবে রাগ- দুঃখ-বিরক্তি-হতাশা ইত্যাদি আরো সব খারাপ অনুভূতি। যা নিয়ে আপনি আপনার মনকে ভালো রাখতে পারবেন কি?
তাই যদি মনকে দৃঢ় করতে পারেন তাহলে চাইলে আপনি ভিখারি হয়েও সুখি হতে পারেন আর যদি না পারেন রাজা হয়েও সুখি হতে পারবেন না। এর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই আমাদের সমাজে। তাই সুখি হতে হলে অবশ্যই ইস্পাত-কঠিন মনের অধিকারী হতে হবে। হোকনা প্রতিবেশীর সব কিছু দামী, হোকনা বন্ধুর সুন্দর চেহারা এতে কোন ক্ষতি নেই। তার চেয়ে খেয়াল রাখতে হবে আপনার শরীর সুস্থ আছে কিনা? আপনার যা সম্পদ আছে তা দিয়ে নিজের প্রয়োজন মিটছে কিনা। কি দরকার মনের ওপর অহেতুক চাপ ফেলার? বরং দরকার মনকে দৃঢ় করার অনুশীলন।
২, সততার পথ অনুসরন করা
মানসিক দৃঢ়তা অর্জনের সবথেকে উত্তম পথ হল সততার পথ ধরে চলা। যে কোনভাবে নিজের অভীষ্ট সাধন কখনোই কাম্য হতে পারে না। মিথ্যার হাত ধরে কিছু অর্জন সাময়িক দৈহিক সুখ দিতে পারে হয়ত, কিন্তু পরম মানসিক শান্তি কখনোই দিতে পারে না। অন্যকে বঞ্চিত করে ভোগ করলে দিনের শেষে তার করুন মুখ আপনার একবার মনে পড়বেই, যদি আপনার বিবেক থাকে। কি হবে এভাবে চলে? পরম শান্তি কখনোই পাওয়া যাবে না। তাই মনকে দৃঢ় করতে হলে আপনাকে সততার পথে চলতেই হবে, যে পথে আপনাকে কারোর সামনে মাথা নত করতে হবে না। আপনার কছু না থাকা আপনাকে হতাশ করবে না, কোন পরাজয়ে আপনি ভেঙ্গে পড়বেন না।
৩, ধৈর্যশীল হওয়া
মন ভালো রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। রোগ-শোক-ক্ষোভ-হতাশা-পরাজয়-অপমান-বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যদি আপনি ধৈর্যশীল না হতে পারেন তাহলে আপনাকে চলার পথে প্রতি পদে পদে দুঃখ পেতে হবে। আর যদি আপনি ধৈর্যশীল হতে পারেন তাহলে এই সব প্রতিকূলতা সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন। আপনি সুখি হবেন।
৪, Negative চিন্তাভাবানা ত্যাগ করা
আমাদের সকলকেই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ত্যাগ করা উচিৎ - তা নাহলে আমরা কখনোই আমাদের মনকে ভালো রাখতে পারবো না। আমি পারবো না, আমার দ্বারা কিছু হবে না এরকম চিন্তাভাবনা যেমন আপনাকে ব্যার্থতা-হতাশা-দুঃখ ইত্যাদি উপহার দেবে – পরিনামে আপনার মন দুঃখে ভরে উঠবে। তেমনি সর্বদা নেতিবাচক চিন্তাভাবনার ওপর জোর দেন তার প্রভাব আপনার স্বাস্থ্যেও পড়বে। রোগ-শরীর-ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা অথবা আমার বিপদ হবে, আমার কোন কঠিন রোগ হয়নি তো, আমার চাকরি চলে গেলে কি হবে, কি হবে যদি আমার ব্যবসা না চলে? – সর্বদা মনের মধ্যে এরকম নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করা আপনার শরীর ও মন দুটোর ওপরেই বিরাট প্রভাব ফেলে। তাই দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে, সুখী জীবনযাপন করতে আজ থেকে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ত্যাগ করুন।
৫, Positive মনোভাব দেখানো
মন ভালো রাখার আর একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল সর্বদা Positive মনোভাব মনোভাব বজায় রাখা। রোগ-শোক-দুঃখ-পরাজয়-দুর্ঘটনা-মৃত্যু-ক্ষতি ইত্যাদি সকলের জীবনে আসবে। আবার এর মধ্যে কোনটা কারোর জীবনে নাও আসতে পারে। এগুলির প্রতি অহেতুক চিন্তাভাবনা করে আপনি কি এগুলি এড়াতে পারবেন? পারবেন না। বরং যদি আপনি Positive মনোভাব নেন তাহলে সহজেই এগুলির মুখোমুখি হতে পারবেন। এগুলির সামনে ভেঙ্গে পড়বেন না – তার জন্য চাই মনের দৃঢ়তা এবং Positive মনোভাব। তাই বিশ্বকবি যথার্থই বলেছেন, “ভালো মন্দ যাই আসুক সত্যরে লও সহজে”।
৬, লোভ দমন করা
মানুষের চাহিদার কোন শেষ নেই। সেই জন্যই আমরা দেখি আলমারি ভর্তি পোশাক-গহনা-প্রসাধনী রেখেও কোন ধনী গৃহবধু ছুটে যান শপিং মলে আর কিনে আনেন দেদার সামগ্রী – যা হয়ত কোন দিন ব্যবহার করেন না, আর করলেও দু-একবার করে রেখে দেন। আসলে তিনি অন্যকে নিজের জড়ো করা (Collections) সামগ্রী দেখিয়ে আনন্দ পেতে চান। এটাও মনের এক বিচিত্র চাহিদা।
ব্যাপারটা শুধু ওই গৃহবধূর নয়, আসলে এর দ্বারা আমরা কম বেশি সকলেই আসক্ত... একটু ভেবে দেখুন তো এর কোন প্রয়োজন আছে কি? যুক্তিগতভাবে যেটুকু গ্রহন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সেইটুকুই নিন, বাকীটা এড়িয়ে যান। বরং সেই অর্থ-সময়-প্রেরণা অন্য কাজে ব্যয় করুন – না হলে দুঃখ পেতে হবে। অনেক কিছু থাকার পরও যদি কোনদিন একটু বঞ্চিত হন সেদিন চরম দুঃখ পাবেন, আপনার অস্তিত্ব কেঁপে উঠবে। ... ভেবে দেখুন ওই লোভের ওপর কি আপনার অস্তিত্বকে ছেড়ে দেবেন? না কখনোই নয়। তাই মনকে সুস্থ রাখতে হলে লোভকে অবশ্যই দমন করতে হবে।
৭, রাগ নিয়ন্ত্রন করতে শেখা
রাগ হল ঝড়ের ন্যায়। এটা যেমন হঠাৎ , তেমনি হঠাৎই চলে যায়। কিন্তু ক্ষতি করে দিয়ে যায় অনেক কিছু, যার অনেকটাই হয়ত পরবর্তীকালে আর পূরন করা যায় না। ফলে আপনার পরিবার ও তার সাথেসাথে দেহমনেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনাকে রাগ নিয়ন্ত্রন করা শিখতে হবে, অসীম ধৈর্যশীল হতে হবে। তাহলেই কিন্তু আপনার মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।
৮, নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটানো
সর্বদা নিজের চাহিদা পূরণ বা ভোগের ওপর মাথা না ঘামিয়ে বরং কিছু সময় আপনার প্রিয়জনের জন্য ব্যয় করুন। তাদের সুখ-দুঃখ, ভালোলাগা বা মনের খোঁজ-খবর নিন। দেখবেন অনেক সহজ-সরল হয়ে উঠছে আপনার পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক। আপনার একটু চেষ্টায় যদি পরিবারের কোন সদস্যের মুখে হাসি ফোটে তার মূল্য অপরিসীম - যা আপনার মনে অদ্ভুত প্রশান্তির সৃষ্টি করবে।
৯, সামাজিকতা-দান-ধ্যান-সেবার কাজে আত্মনিয়োগ করা
মনকে সুখি করতে হলে আমাদের সামাজিক হতে হবে। সামাজিকতা আমাদের মনে পরম প্রশান্তি সৃষ্টি করে, স্ট্রেস দূর করে। বিশিষ্ট লেখক Hector Gargia এবং Francesc Miralles তাদের 'IKIGAI' নামক বইতে জাপানের OKINAWA দ্বীপের অধিবাসীদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার রহস্য উদঘটন করতে গিয়ে দেখেছেন তাদের জীবনযাত্রার পথ চলে অনেকটাই সামজিক নিয়মে এবং সমাজের একে অপরকে সাহায্য করার মধ্যে দিয়ে। শুধু ব্যাক্তিগত স্বার্থের কথা চিন্তা আমাদের মনকে সংকীর্ণ করে তোলে, আমাদের মস্তিষ্কে বিরুপ বার্তা পাঠায় – যার প্রভাব আমাদের মনেও পড়ে।
তাই সমাজের অন্যদের প্রতি, দুর্বল ও পিছিয়ে পড়াদের প্রতি,অসুস্থ ও দুঃস্থদের প্রতি আমাদের একটু হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আপনার বাড়ানো হাতে যদি কোন অসুস্থ সুস্থ হয়ে উঠে, যদি কোন দরিদ্র শিশুর মুখে হাসি ফোটে,যদি কোন অভুক্তর একবেলা খাবার জোটে, যদি কোন দরিদ্র মেধাবীর মেধার বিকাশ ঘটে – তার চেয়ে আনন্দের কিছু হতে পারে না। সেই আনন্দ পেতে হলে কিছু সামাজিকতা-দান-ধ্যান-সেবার কাজ আপনি করলে অবশ্যই আপনার মন ভালো থাকবে।
১০, সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে ডুবে থাকা
সৃষ্টিশীল কোন কিছুর মধ্যে ডুবে থাকা বা আপনার খুব পছন্দের কোন কর্মে লিপ্ত থাকা – এসব কিছু আমাদের মস্তিস্কে Positive প্রভাব ফেলে – ডোপামিন (Feel good hormone) এবং সেরোটোনিন ( Happiness hormone) ইত্যাদি সব ভালো হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে – যা আমাদের অবসাদ-দুশ্চিন্তা-ক্লান্তি ইত্যাদি দূর করে মানসিক প্রশান্তি আনে। এইসব সৃষ্টিশীল কাজ বা মননের অনুশীলন বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন –
(১) বইপড়া যদি আপনার অভ্যাস হয়ে ওঠে তাহলে আপনি মনের রাজা। জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে মানসিক শান্তি, দীর্ঘায়ু লাভ ইত্যাদি আপনি পেতে পারেন। একটা বই আপনকে যে কতকিছু দিতে পারে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। বই আপনার সবথেকে প্রিয় সাথি, তাই মনকে ভালো রাখতে পছন্দের বই পড়ুন।
(২) ভালমানের সিনেমা, নাটক দেখা ও চর্চা করা , গান শোনা বা শেখা , ভ্রমন ইত্যাদি আপনার সুস্থ মনের জন্য খুবই দরকারী। জীবনের একঘেয়েমী কাটাতে এগুলির কোন একটি নিয়ে মেতে থাকুন, এর ওপর নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করুন দেখবেন আপনার মন সজীব হয়ে উঠছে।
(৩) যে কোন সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে যুক্ত করা, যার জন্য আপনার কিছু সময় ব্যয় করতে হয় বা মাথা ঘামাতে হয় – এমন কাজকর্ম আপনার মস্তিস্কের সক্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি করে, মানসিক অবসাদ দূর করে - যা আপনার মনের সজীবতা বৃদ্ধি করে আপনাকে সুখি করে তুলবে।
(৪) প্রকৃতির সান্নিধ্য আমাদের মনের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলে। সবুজের মধ্যে মাঝেমধ্যে বিচরন, গাছ লাগানো বা বাগান করা, গাছপালার যত্ন করা, কৃষিকাজ করা ইত্যাদি আদিম কাজ আপনাকে প্রকৃতি বা মাটির সাথে নিবীড় যোগাযোগ স্থাপন করে, যা আপনার দেহমনে প্রশান্তি বয়ে আনবে।
(৫) সবসময় কিছু না কিছু শেখার মধ্যে থাকুন। তা হতে নতুন কোন ভাষা, কাজ, খেলাধূলা আরো কত কি। যখন আমরা কোন কিছু আনন্দের সাথে শিখি তখন আমাদের মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বহুগুনে বৃদ্ধি পায় – যা আমাদের শরীর ও মনে প্রভাব Positive ফেলে ও আমাদের মনকে খুশী তোলে।
(৬) নিজেকে ভালবাসতে শিখুন। নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া শুরু করুন। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটা, ভালো খাবার খাওয়া, বই পড়া, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো শুরু করুন। যা আপনার দেহমনে ভালো ফল আনবে।
(৭) গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন আপনার স্ট্রেস লেবেল কমাতে দারুণ ফলপ্রসু। যতটা সম্ভব দীর্ঘ শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এছাড়া যে সব শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম আছে সেগুলি করার চেষ্টা করুন। কারন আমরা সর্বদা দুশ্চিন্তার শ্বাস নিই, ফলে যথেষ্ট বাতাস আমাদের দেহে প্রবেশ করতে পারেনা। ফলে আমাদের দেহের উদ্দীপনা কমে যায়, মন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাই মনের গতি বাড়াতে শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন।
(৮) সুযোগ পেলেই কিছু সময় একাকি গভীর অরন্যে, তবে অগম্য স্থানে নয়, ঘুরে বেড়ান। কারন অরন্যের নির্জনতা, সেখানকার মধুর শব্দ, পাখির কাকলি আমাদের মনে দারুন প্রভাব ফেলে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে অরন্যের নির্জনতা অনেক রোগ সারিয়ে তুলতে দারুন কার্যকরী। তাই দেহ মনকে সুস্থ-সবল রাখতে কিছু সবকিছু ভুলে একা একা এই বিশাল বিশ্বের মাঝে হারিয়ে যেতে শিখুন।
খুলে দিন আপনার মনের দরজা
আপনার মনের দ্বার খুলে দিন,মনের পঙ্কিলতা দূর করে দিন। আকাশের মত উদার হতে শিখুন। অন্যকে ক্ষমা করতে শিখুন। নিজের ভুল ত্রুটি স্বীকার করতে শিখুন। আর হন বিশ্বমানবতার পূজারি। বিশ্বের সকলে ভালো থাকুক এমন শুভাকাঙ্ক্ষা সর্বদা মনে পালন করুন – দেখবেন আপনি হয়ে উঠেছেন মনের রাজা।
আরো পড়ুন 👉 ঘানিম আল মুফতাহ এক বিস্ময়কর বালকের কাহিনী।
Please do not enter any spam link in the comment box