পর্ব - 07
1,দুটি পরিবেশগত আন্দোলনের নাম কর ।
👉 চিপকো ও নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন ।
2, নীল চাষিদের দুঃখ দুর্দশার কথা কোন পত্রিকায় তুলে ধরা হয়।
👉 হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকায় নীল চাষিদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়।
3, ভারত পথিক কাকে বলা হয় ?
👉রাজা রামমোহন রায় কে ।
4, ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ কাকে বলা হয় ?
👉রাজা রামমোহন রায় কে ।
5, বিদ্যোৎসাহিনী সভা কে গঠন করেন?
👉 কালীপ্রসন্ন সিংহ।
6, জন শিক্ষা কমিটি ( কমিটি অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন) কবে গঠিত হয়?
👉 ১৮২৩ খৃস্টাব্দে।
7, চুইয়ে পড়া নীতির জনক কে ছিলেন?
👉 চুইয়ে পড়া নীতির জনক ছিলেন টমাস ব্যাবিংটন মেকলে।
8, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ কে ছিলেন?
👉 কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন মন্টফোর্ড ব্রামলি।
9, ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন কবে পাশ হয়?
👉 ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৮৫৭খৃস্টাব্দেপাশ হয়।
10, বামদিক ও ডানদিক মিলিয়ে লেখ। (উত্তর করা আছে)
বামদিক | ডানদিক |
---|---|
উমেশচন্দ্র দত্ত | বামাবোধোনি প্রত্রিকা |
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় | হিন্দু প্যাট্রিয়ট প্রত্রিকা |
কালিপ্রসন্ন সিংহ | হুতোম প্যাঁচার নকশা |
দীনবন্ধু মিত্র | নীল দর্পণ |
দুই নম্বর এর জন্য
1, শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে কারা পরিচিত?
👉 উইলিয়ম কেরি, ওয়ার্ড ও মার্শম্যান শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে কারা পরিচিত।
2, দুইজন প্রাচ্যবাদী (ওরিয়েন্টালিস্ট) সমর্থকের নাম কর।
👉 এইচ. টি.প্রিন্সেপ, কোলব্রুক উইলসন প্রমুখ ছিলেন প্রাচ্যবাদী (ওরিয়েন্টালিস্ট) শিক্ষা সমর্থক।
3, দুইজন পাশ্চাত্যবাদী (অ্যাংলিসিস্ট) সমর্থকের নাম কর।
👉 টমাস ব্যাবিংটন মেকলে, আলেকজান্ডার ডাফ, স্যান্ডার্স এবং কলভিন প্রমুখ ছিলেন পাশ্চাত্যবাদী (অ্যাংলিসিস্ট) শিক্ষা সমর্থক।
4, কে, কবে পটলডাঙ্গা একাডেমী প্রতিস্টা করেন? এর বর্তমান নাম কি?
👉 ১৮১৮ খৃস্টাব্দে ডেভিড হেয়ার পটলডাঙ্গা একাডেমী প্রতিস্টা করেন। এর বর্তমান নাম কি হেয়ার স্কুল।
5, বাংলায় নারী শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এমন কয়েকজন বিদেশিনীর নাম কর।
👉 মিসেস কুক, মেরি উইলসন, মেরি কার্পেন্টার, মিসেস অ্যাক্রয়েড বাংলায় নারী শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন।
6, ডিরোজিও কেন অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন?
👉 ডিরোজিও তাঁর ছাত্রদের মধ্যে স্বাধীন চিন্তা এবং যুক্তিবাদের বিকাশ ঘটাবার জন্য কোন কিছুকে বিনা বিচারে না মেনে নেবার পরামর্শ দেন। এই উদ্দ্যেশেই ১৮২৭ খৃস্টাব্দে তিনি অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন। এখানে তারা জাতিভেদ প্রথা, সামাজিক অস্পৃশ্যতা, সতীদাহ প্রথা, মূর্তিপূজা সহ নানা সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে মত বিনিময় করতেন।
চার নম্বর এর জন্য
১, সমাজ ও নারী এর উন্নয়নে বামাবোধোনি প্রত্রিকার ভুমিকা উল্লেখ কর ।
👉 উনিশ শতকে বাংলা ভাসষষায় প্রকাশিত বামাবোধোনি প্রত্রিকায় স্ত্রী শিক্ষার স্বপক্ষে ও বাল্যবিবাহ এর বিরোধিতা করে নারীদের সচেতন করা হয়। পুরুষদের মত লাবন্যপ্রভা বসু, স্বর্ণপ্রভা বসু প্রমুখ মহিলারা এই প্রত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন।এদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীকালে লেখিকা হিসাবে সুনাম অর্জন করেন।সুচনাকাল থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত এই বামাবোধোনি প্রত্রিকা সমকালীন বাংলার নারীদের সম্পর্কে জানার এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল। পরিবার ও সমাজের যোগসূত্র হিসাবে ও নারীদের উন্নয়নে এই পত্রিকার অবদান অপরিসীম।
২, মেকলের মিনিটস সম্পর্কে যা জান লেখ ।
👉 জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি টমাস মেকলে এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেন । এজন্য তিনি ১৮৩৫ সালে লর্ড বেন্টিঙ্কের কাছে একটি প্রস্তাব (মিনিটস) পেশ করেন। এই প্রস্তাবে তিনি বলেন- ক, প্রাচের শিক্ষা পাশ্চাত্যের সমকক্ষ নয়। খ, এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা চালু হওয়া উচিত। গ, এদেশে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মধ্য ইংরেজি চালু হলে তা চুইয়ে পড়া নীতি র মাধ্যমে দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পরবে। ঘ, পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে এদেশে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা রক্তে ও বর্ণে ভারতীয় হলেও রুচি ও মতাদর্শে ইংরেজ হবে।
মেকলের এইসব সুপারিশ মেনে নিয়ে বড়লাট বেন্টিঙ্ক ১৮৩৫ সালে ইংরেজি শিক্ষার প্রাসার কে সরকারী নীতি হিসাবে ঘোষণা করেন।
৩, বাংলায় নারী শিক্ষা বিস্তারে বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর।
👉 ভূমিকা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলায় নারী শিক্ষার বিস্তারের পথিকৃৎ। তিনি যথার্থই উপলব্ধি করেন যে, নারী জাতির উন্নতি না ঘটলে বাংলা সমাজ ও সংস্কৃতির প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয়। আর এই নারী জাতির উন্নতির জন্য তাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে।
প্রাথমিক পদক্ষেপ - নারী জাতির মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিদ্যাসাগর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল ড্রিঙ্কওয়াটার বিটনের সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতায় ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়, বর্তমান যার নাম বেথুন স্কুল। এছাড়াও তিনি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলায় মেয়েদের জন্য একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ - পরবর্তীতে তিনি গ্রাম অঞ্চলের নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে এগিয়ে আসেন এবং বহু গুরুত্বপূর্ন কর্মসূচী নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি বাংলার বিভিন্ন জেলায় স্ত্রী শিক্ষা বিধায়নী সম্মিলনী প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের মধ্যে নদীয়া, বর্ধমান, হুগলি ও মেদিনীপুর জেলায় ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলিতে প্রায় ১৩০০ ছাত্রী পড়াশোনা করত। তিনি ব্যক্তিগত ব্যয়ে বিদ্যালয়গুলো চালাতেন, তবে কিছুদিন পর সরকারের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান লাভ করতে সমর্থ হন। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বাংলার বিভিন্ন স্থানে বালিকা বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৮৮ টি।
পরিশেষে বলা যায় বিদ্যাসাগরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টার ফলে বাংলার নারী শিক্ষার প্রসার ব্যাপক আকার ধারণ করে। নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের ফলে বাল্যবিবাহ, সতীদাহ, বহুবিবাহ ইত্যাদি সামাজিক ব্যাধিগুলির প্রকোপ কমতে শুরু করে, নারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
Download the Pdf 👉 Click Here
আরও পড়ুন 👉 মাধ্যমিক ইতিহাস পর্ব - 05
Please do not enter any spam link in the comment box