সুস্বাস্থ্যের সহজ পাঠ।। 100 Healthy Habits
1, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন।
2, ঘুম থেকে উঠে ২/১ গ্লাস জল খান। হালকা গরম জল খেতেও পারেন।
3, ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গেই বাইরে যাবেন না, অন্তত একটু হাত পা দেহের Movement করে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালো করে করুন। তাহলে ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, সহজে ঠাণ্ডা লাগবে না
4, ঘুম থেকে উঠার পর অন্তত ১০/১২ বার গভীর শ্বাস নিন।
5, সুর্য ওঠার আগে যে নির্মল প্রকৃতি থাকে, তাকে উপভোগ করুন।
6, Morning Walk সবথেকে উত্তম ব্যায়াম। নিয়মিত করার চেষ্টা করুন।
7, নিয়মিত প্রানায়াম বা Meditation করুন।
8, ভোরের নির্মল বাতাস বুক ভরে শ্বাস নিন।
9, আপনার দেহের প্রয়োজন অনুসারে জল পান করুন, এর কমও নয় বেশিও নয়। আপনার কততুকু জল দরকার আপনার চিকিৎসক বা ডায়েটিসিয়ানের কাছে জেনে নিন।
10, খাবার খেয়েই জল পান করবেন না, এতে হজমের সমস্যা হয়। খাবার আধ ঘন্টা আগে বা পরে জল পান করুন।
11, আপনার দেহের জৈবিক ঘড়ি বা Biological Clock অনুসারে চলুন। খেয়াল করে দেখবেন আমাদের প্রতিদিন একই সময় খিদে লাগে বা ঘুমানোর জন্য হাই ওঠে বা মল মুত্রের বেগ আসে একে জৈবিক ঘড়ি বলে।এই জৈবিক ঘড়ি বা Biological Clock অনুসারে আপনার খওয়া, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া, ঘুমানো ইত্যাদি কাজ গুলি করুন।
12, আপনার দেহ খুব Smart, সে যেটা সহ্য করতে পারেনা তা বিভিন্ন ভাবে বর্জন করে। সেই অনুযায়ী খাওয়া বা চলার চেষ্টা করুন।
13, পরিমিত আহার করুন, এর কম বা বেশি নয়। আপনার কতটা খাবার দরকার তা আপনার দেহ ওজন, কাজ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। দরকার হলে একজন Dietician সাথে পরামর্শ করুন।
14, পুস্টিকর খাবারের ওপর জোর দিন।
15, সকালে ঘুম থেকে উঠেই সঙ্গে সঙ্গে খাবেন না, আগে জল খান, কিছু শারীরিক ব্যায়াম করুন তারপর খাবার খান।
16, খাবার আগে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলুন।
17, খাদ্য বেশি করে চিবিয়ে খান( অন্তত ৩২ বার)।
18, দিনে অন্তত একটা ফল খাবার চেষ্টা করুন।
19, দিনের মধ্যে অন্তত একবার কাঁচা(ক্লোরোফিল যুক্ত) কিছু খান।
20, বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি খাবার ওপর জোর দিন।
21, মরসুমি ফল খাবার ওপর সবথেকে বেশি জোর দিন।
22,অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার বর্জন করুন।
23, ভাজা বা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
24, অতিরিক্ত লবন আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, তাই অতিরিক্ত লবন খাওয়া বাদ দিন।
25, প্রানীজ চর্বি যুক্ত খাবার বর্জন করুন।
26, যতটুকু সম্ভব প্রাকৃতিক খাদ্য(Natural and Organic Foods) খাবার চেষ্টা করুন।
27, যে খাবার খেয়ে আপনি অভস্ত্য সেই খাবার খাওয়ার প্রতি জোর দিন। নতুন কোন খাদ্য অভ্যাস করলে প্রথমে অল্প অল্প করে খেয়ে অভ্যাস করুন।
28, চিনির ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন।
29, চিনির বিকল্প হিসাবে মধু, Organic Jaggary Powder ব্যবহার করতে পারেন।
30, খালি পেটে চা পান করবেন না।
31, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা অতিরিক্ত গরম খাবার খাবেন না।
32, দুধ চিনি ছাড়া চা পান করুন।
33, সম্ভব হলে নিয়মিত Green Tea পান করুন।
34, ভিটামিন, খনিজ লবন আমাদের শরীরের পক্ষে ভালো, কিন্তু এগুলি সরাসরি খাদ্য থেকে গ্রহন করলে আমাদের শরীর সহজে নিতে পারে, অন্য কোন ক্যাপ্সুল-সিরাপ থেকে নয় – তাই খাদ্যের মাধ্যমে এগুলি নেবার চেষ্টা করুন।
35, কোন বিজ্ঞাপন দেখে কোন শক্তি বর্ধক ওষুধ, ভিটামিন বা কোন ফুড সাপ্লিমেন্ট খাবেন না। এগুলির হয়ত কারোর ক্ষেত্রে প্রয়োজন আছে তবে তা বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শে খাওয়া উচিৎ।
36, যতটুকু সম্ভব Unprocessed Foods খাবার চেষ্টা করুন। সরাসরি প্রকৃতি থেকে যে খাবার পাওয়া যায় তাকে Unprocessed Foods বলে। এর মধ্যে সব হয়ত সরাসরি খাওয়া যায়না, কিন্তু যেগুলি যায় সেগুলি খাবার চেষ্টা করুন।
37, Fast Foods and Junk Foods এড়িয়ে চলুন।
38, সবসময় বাড়ির খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
39, সকালের Breakfast যেন একটি পরিপুর্ন আহার হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
40, কখনোই সকালের Breakfast এড়িয়ে যাবেন না, এটা শরীরের ওপর বিরাট ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে
নিজের কর্ম জগতে ডুবে থাকুন।
41, নিজের কাজে খুশি থাকার চেষ্টা করুন, Job Satisfaction না থাকলে আপনি সহজেই ভেঙ্গে পড়বেন, আপনার আয়ু কমে যাবে।
42, আপনার ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
43, সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করুন।
44. বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর উপকারীতা সম্পর্কে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
45. সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকুন।
46. সুযোগ পেলেই গভীর শ্বাস নিন।
47. নিয়মিত হাঁটুন।
48. নিজের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
49. কখনোই মল মূত্রের বেগ চেপে রাখবেন না, এটা খুব বাজে অভ্যাস – যা অনেক রোগের সৃষ্টি করে।
50. ধূমপান ত্যাগ করুন।
51. অলসতা বর্জন করুন।
52. মদ্যপান ত্যাগ করুন।
53. তামাক, গুঠখা, খৈনি ইত্যাদি বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন।
54. অসৎ ব্যাক্তিদের সঙ্গ ত্যাগ করুন।
55. কারোর সাথে অন্যায় আচরন করা থেকে বিরত থাকুন।
56. সর্বদা সততার পথে চলুন – যা আপনার দেহ মনের সুস্থ্যতার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ন।
57. মিথ্যা কথা বলা বর্জন করুন, কারন মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস আমাদের ভিতর থেকে দুর্বল করে দেয়।
58. কোন খেলাধূলার সাথে যুক্ত থাকুন
59. প্রয়োজনে না বলতে শিখুন, কারন আপনি সবাইকে সুখি করতে পারবেন না।
60. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান।
61. ঘুমাতে যাবার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।
62. রাতে সবসময় হালকা খাবার খান।
63. রাতে বিছানায় যাবার আগে অবশ্যই আপনার দাঁত ব্রাশ করুন।
64. রাতে ঘুমাতে যাবার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে Mobile, TV, Computer ব্যবহার করবেন না।
65. ৪৬, রাতে ঘুমাতে যাবার আগে কোন ক্যাফিন জাতীয় পানীয়(যেমন চা, কফি) পান করবেন না, এতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।
66. অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
67. সর্বদা আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চলুন।
68. কোন রোগকে অবহেলা করে ফেলে রাখবেন না।
69. দীর্ঘদিন সুস্থ সবল থাকতে আপনার শরীরেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
70. দীর্ঘদিন সুস্থ সবল থাকতে আপনার শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যত্ন নিন।
71. প্রাকৃতিক চিকিৎসার ওপর জোর দিন।
72. ছোটখাট সমস্যা গুলি আপনার শরীরকে নিজেকেই সারাতে দিন।
73. Self Diagnosis, Self Treatment or Self medication থেকে বিরত থাকুন।
74. নিয়মিত ব্যবধানে আপনার শরীরের Health Check up করিয়ে নিন।
75. বছরে ২বার ডেন্টিস্ট এর কাছে যান।
76. নিয়মিত নখ, চুল কাটুন বা পরিষ্কার রাখুন।
77. সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি গুলি মেনে চলার চেষ্টা করুন।
78. মাঝেমধ্যে উপবাস করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। যদি কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে তবে মাঝেমাঝে তা পালন করুন।
79. কোন Health Expert এর সাহায্য নিয়ে আপনার শরীরকে Detox করে নিন। তবে নিজে নিজে নয়।
80. রোগ নিয়ে অযথা ভাববেন না।
81. আপনার বাসস্থান সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখুন। যে ঘরে বাস করেন সেটা যাতে আলো বাতাস চলাচল করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
82. কিছু সময় গায়ে রোদ লাগান(দিনে অন্তত ২০ মিনিট)।
83. প্রকৃতির পশু-পাখিকে ভালো বাসতে শিখুন।
84. নিজের পরিবারকে সময় দিন।
85. পরিবারের অন্যদের খুশি করার চেষ্টা করুন।
86. নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন।
87. সর্বদা হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
88. হতাশা, স্ট্রেস ইত্যাদি থাকলে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে পরিবার বা বন্ধুদের সাহায্য নিন।
89. সর্বদা পজিটিভ মনোভাব নিয়ে চলুন।
90. নেতিবাচক মনোভাব ত্যাগ করুন, কারন এটা আপনার ভিতরের শক্তিকে কমিয়ে দেয়।
91. অতিরিক্ত কামনা বাসনা ত্যাগ করুন।
92. অল্পতে খুশি থাকার চেষ্টা করুন, তাহলে সুখি হবেন।
93. অন্যের সম্পদ, চেহারা বা সামাজিক মর্যাদার সাথে তুলনা করে নিজে দুঃখ পাবেন না। নিজের অবস্থানে খুশি থাকার চেষ্টা করুন।
94. নিজের রাগ নিয়ন্ত্রন করতে শিখুন। কারন রাগ হল ঝড়ের মত, হঠাৎ এসে অনেক ক্ষতি করে দিয়ে যায় – যা অনেক সময় পূরন করা সম্ভব হয় না।
95. সামাজিক যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন।
96. অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
97. মাঝেমধ্যে বা সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে আসুন। এতে আপনার মন আবার ফ্রেশ হয়ে উঠবে।
98. সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। তাঁর কাছে নিজের জন্য তার সাথে সাথে সবার মঙ্গলের জন্য প্রাথর্না করুন।
99. নিজের মনের কোন ভালো কামনা থাকলে অবশ্যই তাকে পূরণ করার চেষ্টা করুন।
100. চরিত্র, ব্যবহার, পোশাক, খাদ্যাভাস সবকিছুতেই সরলতাই সবথেকে উত্তম – এই মতানুসারে চলার চেষ্টা করুন।
Please do not enter any spam link in the comment box